বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মেঘমল্লার’ গল্প সংকলনের অন্যতম বিশিষ্ট গল্প ‘পুঁইমাচা‘। বিভূতিভূষণের সাহিত্যজীবনের প্রথম পর্যায়ের গল্প হিসাবে ‘পুঁইমাচা’ গল্পটি শুধু উল্লেখযোগ্য তাই নয়, বিভূতিভূষণের সাহিত্যিক-সত্ত্বার মৌল উপাদান ও প্রবণতাগুলি এই গল্পটিতে সার্থকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ১৩৩১ সালের প্রবাসী পত্রিকার মাঘ সংখ্যায় গল্পটি প্রকাশিত ...
ByTure Latest Articles
পুঁইমাচা গল্পের বিষয়বস্তু
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুইমাচা’ গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘প্রবাসী’ পত্রিকার মাঘ সংখ্যায় ১৩৩১ বঙ্গাব্দে। গল্পটি সংকলিত হয়েছে ‘মেঘমল্লার’ (১৯৩১) গল্পগ্রন্থে। এ গল্পেও বিভূতিভূষণের স্বভাবধর্ম অনুযায়ী প্রকৃতি ও মানুষের এক সরল সহজিয়া মূর্তিই প্রকাশিত। অন্নপূর্ণা ও সহায়হরির তিন কন্যা সন্তান ক্ষেন্তি, পুঁটি ...
কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলা কথা-সাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Bibhutibhushan Bandyopadhyay) একাধারে অনন্য এবং একক। কবিতার ক্ষেত্রে জীবনানন্দ এবং কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ একান্তভাবে বাংলার প্রকৃতিরূপে নিমগ্ন। অবশ্য আধুনিককালের জটিল জীবনবোধ জীবনানন্দকে যেভাবে আলোড়িত করেছিল, বিভূতিভূষণ কোনো দুর্জেয় কৌশলে এড়িয়ে যেতে পেরেছিলেন। বঙ্গপ্রকৃতি উভয়ের হৃদয়কেই ছন্দিত করতে ...
মধুসূদন থেকে দ্বিজেন্দ্রলাল পর্যন্ত বাংলা ঐতিহাসিক নাটকের বিবর্তন
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সূচনাকাল থেকে সাধারণভাবে বিষয়বস্তুর অন্বেষণে বাঙালী লেখকবৃন্দ ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাসের ওপরে নির্ভর করেছেন দেখা যায়। কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ (১৮৫৮) কাব্যে টডের ‘Annals and Antiquities of Rajasthan’ নামক গ্রন্থ থেকে দেশের স্বাধীনতা এবং আত্মমর্যাদার জন্য রাজপুতদের ...
রাঢ়ী উপভাষা
রাঢ়ী উপভাষা (Rarhi dialect) বিশেষ করে মধ্য-পশ্চিমবঙ্গের হুগলি, হাওড়া, নদীয়া, কলকাতা, উত্তর 24 পরগণা, দক্ষিণ 24 পরগণা, পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রচলিত। এছাড়াও বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং মেহেরপুর জেলাতে রাঢ়ী উপভাষায় কথা বলা হয়। রাঢ়ী উপভাষার শিষ্ট মার্জিত রূপ সাহিত্যে ‘চলিত ...
দিগদর্শন থেকে বঙ্গদর্শন পর্যন্ত সাময়িক পত্রিকার অবদান
ভারতীয় উপমহাদেশে তথা বাংলায় সাময়িক পত্রের সূচনা হয়েছিল ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে জেমস অগাস্টাস হিকির ‘বেঙ্গল গেজেট’ পত্রিকার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু বাংলা ভাষায় সাময়িক পত্রের প্রকাশ ঘটতে সময় লেগেছিল প্রায় সাঁইত্রিশ বছর। ১৮১৮ খ্রীস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশনারীদের উদ্যোগে প্রকাশিত হয় দ্বিভাষিক মাসিকপত্র ‘দিগদর্শন’ ...
বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাসে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার অবদান
বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে। তিনি বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রধানতম লেখক। সরকারী চাকুরীসূত্রে বহরমপুরে বাসকালে (১৮৭০-১৮৭৪) ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও বঙ্গদর্শন পত্রিকার লেখকগোষ্ঠীর মধ্যে ছিলেন রামদাস সেন, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, চন্দ্রনাথ ...
বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিহাসে ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার অবদান
বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাসে ‘সবুজপত্র’ উল্লেখযোগ্য নাম। ‘সবুজপত্র’ যখন আত্মপ্রকাশ করেছিল—সেই ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ বাংলা তথা ভারতবর্ষ শুধু নয়, সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে এক গভীর সংকটকাল। ইউরোপের অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদী দেশগুলি নিজ নিজ অস্তিত্বরক্ষার তাগিদে ক্রমশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত হয়ে উঠেছিল। পুঁজি ও বাজার ...
বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
ঘটনা, চরিত্র, সংলাপ, বাহির ও ভিতরের দ্বন্দ্ব প্রভৃতির সমবায়ে কোনও জীবনসত্যের সামগ্রিক রূপায়ণ উপন্যাসের লক্ষ্য। বাংলা সাহিত্যে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্যঙ্গাত্মক নকশা রচনায় প্রথম উপন্যাসের বীজ অঙ্কুরিত হয়। আর বাংলা উপন্যাসের প্রথম শিল্পী হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়—সামাজিক সমস্যার তীক্ষ্ণ উপস্থাপনে, চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দে ...
বান্দুং সম্মেলন
বান্দুং সম্মেলন (Bandung Conference) আফ্রো-এশীয় দেশগুলির মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলন ছিল। ১৯৫৫ সালে ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং প্রদেশে ২৯টি আফ্রো-এশীয় দেশ বান্দুং সম্মেলনে যোগদান করেছিল। এর মধ্যে ১৪টি দেশ নির্জেটি আন্দোলনের বেলগ্রেডের শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিল। বান্দুং সম্মেলনের ...