পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) প্রদত্ত 2024-2025 শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন সেমিস্টার ভিত্তিক সিলেবাস চালু করা হয়েছে। একাদশ শ্রেণীতে Semester-I ও Semester-II হিসেবে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, একাদশ শ্রেণীর সকল বিষয়ের জন্য Semester-I পরীক্ষা হবে ‘Multiple Choice Question’ (MCQs) ভিত্তিক।
একাদশ শ্রেণীর জন্য নতুন সেমিস্টার ভিত্তিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সিলেবাস Semester-I পরীক্ষার জন্য ছয়টি অধ্যায়ে বিভাজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায়ের জন্য 4×1=4 নম্বর নির্ধারণ করেছে, অর্থাৎ প্রথম অধ্যায় থেকে মোট চারটি MCQs প্রশ্ন থাকবে।
আমরা একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সিলেবাস অনুযায়ী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম অধ্যায় (রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা, প্রকৃতি ও পরিধি) থেকে 50+ MCQs প্রশ্ন ও উত্তর (Class 11 Political Science Unit 1 MCQs Questions and Answers) প্রদান করব। যদি কোনো ছাত্র-ছাত্রী আমাদের প্রচেষ্টায় উপকৃত হয়, তবে অবশ্যই বন্ধুদের মধ্যে পোস্টটি শেয়ার করবেন।
Unit I: সংজ্ঞা (Definition) — রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি (Nature of Political Science) — রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি (Scope of Political Science)
ভূমিকা (Introduction)
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বিখ্যাত দার্শনিক অ্যারিস্টটলের বলেন, যে মানুষ সমাজে বাস করে না সে হয় পশু নয় ঈশ্বর। তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রকে অভিন্ন বলে মনে করতেন। তাঁর মতে, মানুষ প্রকৃতির কাছ থেকে গোষ্ঠীবদ্ধ জীবনযাপনের স্বাভাবিক প্রবণতা অর্জন করেছে। খাদ্য, আশ্রয় ইত্যাদি জৈবিক চাহিদাগুলির তাগিদে মানুষ যে গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন গড়ে তোলে, তার থেকেই জন্ম নেয় পরিবার। ক্রমশ পারিবারিক প্রয়োজনের গন্ডি ছাড়িয়ে গড়ে ওঠে গ্রামব্যবস্থা, পরে অনেক গ্রাম নিয়ে আবির্ভাব ঘটে নগর-রাষ্ট্রের। মানুষের সামাজিক জীবনের বিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপান্তর ঘটে। গ্রিসের নগর-রাষ্ট্র বিবর্তনের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে পরিণত হয়েছে আধুনিক জাতীয় সার্বভৌম রাষ্ট্রে।
পন্ডিতদের মতে, রাজনীতি বা ‘পলিটিক্স’ শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Polis’ থেকে এসেছে। ‘পলিস’ শব্দের অর্থ হল নগর। অ্যারিস্টটল তাঁর Politics গ্রন্থে ‘পলিস’ সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করেছেন। অবশ্য প্রাচীন গ্রিসের নগর-রাষ্ট্রগুলির নীতি ও সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি যে ‘রাজনীতির’ কথা তুলে ধরেন তার সঙ্গে বর্তমানের রাজনীতি-সম্পর্কিত ধারণার কোনো মিল দেখা যায় না।
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে প্রোটাগোরাস, ইউরিপিডিস, অ্যালসিডামাস, অ্যান্টিফোন প্রমুখ প্রাচীন গ্রিসের সফিস্ট চিন্তানায়কদের মধ্যে রাষ্ট্রচিন্তা প্রথম পরিলক্ষিত হয়। প্রোটাগোরাসের চিন্তায় মানবতাবাদের ইঙ্গিত মেলে। তাঁর মতে, মানুষের যথার্থ পাঠ্যবস্তু হল মানুষ নিজেই। ইউরিপিডিসের রচনায় জন্মগত সামাজিক বৈষম্য, এমনকি তৎকালীন গ্রিক সমাজে প্রচলিত ক্রীতদাস প্রথার বৈধতাকেও অস্বীকার করা হয়। ইউরিপিডিসের বক্তব্য ছিল, ক্রীতদাসের লজ্জা পাওয়ার মতো একটি বিষয় আছে, সেটি হল তার নাম। এ ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে সে অধম নয়। অ্যালসিডামাস বলতেন ঈশ্বর সব মানুষকে স্বাধীন করে সৃষ্টি করেছেন, প্রকৃতি কোনো মানুষকে ক্রীতদাস করেনি।
পরবর্তীকালে সক্রেটিস সফিসস্টদের বিক্ষিপ্ত ভাবধারাগুলি অতিক্রম করে তাঁর বৃদ্ধিদীপ্ত দর্শন গড়ে তোলেন। সক্রেটিসের প্রচারিত তত্ত্বের মূল কথা সম্পূর্ণই হল প্রকৃত জ্ঞান, তা শেখা যায় আবার শেখানোও যায়। সক্রেটিসের চিন্তাধারায় প্রভাবিত তাঁর সুযোগ্য ছাত্র গ্রিক দার্শনিক প্লেটো ‘The Republic’ গ্রন্থে ন্যায়নীতি-সম্পর্কিত মৌলিক ধারণা ব্যাখ্যা করেন। প্লেটো তাঁর রচনায় ‘দার্শনিক শাসকদের’ হাতে রাষ্ট্রপরিচালনার পূর্ণ অধিকার তুলে দিয়েছিলেন। বিচ্ছিন্ন স্বার্থপর মানুষের ধারণাকে বর্জন করে তিনি সামাজিকতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। প্লেটোর ছাত্র অ্যারিস্টটল সর্বপ্রথম রাজনীতিচর্চাকে ব্যাপক বিজ্ঞানের পর্যায়ে উন্নীত করেন। তাঁর ‘Politics’ গ্রন্থে আদর্শ রাষ্ট্র-সম্পর্কিত আলোচনায় প্লেটোর চিন্তার সঙ্গে তাঁর মৌলিক পার্থক্য ফুটে ওঠে। তাঁর মতে, ভালো রাষ্ট্রে কোনো ব্যক্তিবিশেষ নয়, আইনই হবে চরম সার্বভৌম। গ্রিসের ১৫৮টি নগর-রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ইতিহাস সংগ্রহ অ্যারিস্টটলের চিন্তায় নতুন দিগন্তের সূচনা করে। তিনি মনে করতেন আইনের সার্বভৌমিকতা, নাগরিকদের স্বাধীনতা ও সাম্য, সাংবিধানিক সরকার এবং সভ্য জীবনের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলার নৈতিক আদর্শেই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকে থাকে।
সমাজজীবন বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে এইভাবেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ধারণার উদ্ভব ঘটে। বহুকাল যাবৎ রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছিল নীতি-দর্শনের পর্যায়ভুক্ত। ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপের নবজাগরণের পথিকৃৎ ম্যাকিয়াভেলির হাতে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্ম হয়। খ্রিস্টীয় দর্শনের যুক্তি, ধর্ম, নৈতিকতা প্রভৃতিকে বর্জন করে ম্যাকিয়াভেলি আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন। মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন গতানুগতিক চিন্তাকে অতিক্রম করে ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত শক্তিশালী জাতীয় রাষ্ট্রের রাজকীয় সার্বভৌমত্বের কথা তুলে ধরে ম্যাকিয়াভেলি এক নতুন রাজনৈতিক দর্শনের অবতারণা করেন। ম্যাকিয়াভেলির উত্তরসূরি জাঁ বোদাঁ এবং টমাস হবস ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত, শক্তিশালী রাষ্ট্রদর্শনের সূচনা করেন। মধ্যযুগে ফরাসি সমাজে ধর্মের নামে যে অনাচার ও নৈরাজ্য কায়েম হয়েছিল তার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য এক শক্তিশালী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বোদাঁ বলেছিলেন। সমকালীন সমাজের অব্যবস্থার জন্য চার্চকে দায়ী করে হবস এক চরম সার্বভৌম শক্তির প্রতীক হিসেবে রাজতন্ত্রকে সমর্থন করেছিলেন। পরবর্তী সময়ের রাজনীতিচর্চায় রাজতন্ত্রের বিকল্প হিসেবে জনগণের সার্বভৌমত্বকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৬৮৮ সালের ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লব, ১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের নেপথ্যে লকের অধিকারের তত্ত্ব এবং রুশোর গণসার্বভৌমত্বের তত্ত্ব যুগান্তকারী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বস্তুত অষ্টাদশ শতাব্দী থেকেই রাজনৈতিক চিন্তায় এক নতুন ধারার সঞ্চার ঘটে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাজনীতিচর্চায় দেখা দেয় এক বৈপ্লবিক উত্তরণ। এইসময় একদিকে ভাববাদ, হিতবাদ, উদারনীতিবাদ এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের দর্শন, অন্যদিকে বস্তুবাদী মার্কসীয় দর্শনের প্রতিষ্ঠা ঘটে। লেনিন পরবর্তীকালে মার্কসবাদের এক ধ্রুপদী ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। পরে এডওয়ার্ড বার্নস্টাইন, কার্ল কাউটস্কির মতো একদল চিন্তাবিদ সমাজবাদ সম্পর্কে এক ভিন্ন ধারার প্রবর্তন করেন। তাঁরা সাংবিধানিক পদ্ধতিতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন। একে গণতান্ত্রিক সমাজবাদ বলা হয়।
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আচরণবাদী রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা চিরাচরিত রাজনীতিচর্চার বাইরে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। এঁদের মধ্যে গ্রাহাম ওয়ালাস, আর্থার বেন্টলি, চার্লস মেরিয়াম, ডেভিড ইস্টন প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। আচরণবাদ রাজনীতিচর্চায় তত্ত্বকেন্দ্রিক ও প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আলোচনাকে পরিত্যাগ করে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর আচার-আচরণ বিশ্লেষণের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনাকে সর্বতোভাবে মূল্যমান-নিরপেক্ষভাবে গড়ে তোলার এক প্রয়াস চালায় আচরণবাদ। পরবর্তীকালে বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে রাজনীতিচর্চায় আচরণবাদী ধারার জন্ম হয়।
রাজনীতিচর্চার প্রকৃতি ও পরিধি নিয়ত পরিবর্তনশীল। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে সাম্প্রতিককালের রাজনীতি মূলত সমাজনির্ভর। প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক সাবেকি আলোচনায় রাজনৈতিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যেত না। শাসনবিভাগ, আইনসভা, বিচারবিভাগ, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির আলোচনার মধ্যেই তা সীমিত ছিল। এই কারণে আধুনিক রাজনৈতিক আলোচনায় রাজনৈতিক দল, চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী, স্বার্থগোষ্ঠী, ভোটদাতাদের নির্বাচনি আচরণ, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, জনমত, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সামাজিকীকরণ প্রভৃতি বিষয়কে অধিকতর গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করার প্রয়াস লক্ষ করা যায়।
একালের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাজনীতির মুখ্য বিষয় হিসেবে ক্ষমতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। রবার্ট ডালের মতে, রাজনৈতিক ব্যবস্থা হল মানবিক সম্পর্কের এমন এক নিরবচ্ছিন্ন ধারা যার সঙ্গে ক্ষমতা, শাসন বা কর্তৃত্ব জড়িত।
সাম্প্রতিককালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাজনৈতিক আলোচনায় জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্বসহকারে বিচার করে থাকেন। জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের নিরিখে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটা সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। বর্তমানে পৌরসমাজের ভূমিকা আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের রাজনৈতিক আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পৌরসমাজের প্রভাব-প্রতিপত্তি ক্রমবর্ধমান। এ প্রসঙ্গে বিশ্বায়নবিরোধী বিশ্ব সামাজিক মঞ্চ, পরিবেশ সংরক্ষণে গ্রিন পিস মুভমেন্ট-এর মতো বিভিন্ন পরিবেশবাদী মঞ্চ এবং নারীবাদী ক্ষমতায়ন আন্দোলনের কথা উল্লেখ করা যায়।
উত্তর-আধুনিকতার ভাবনায় নারীবাদ একালের রাজনৈতিক আলোচনায় একটি মৌলিক বিষয়রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তাবৎ আলোচনাকে পুরুষ-আধিপত্যের দৃষ্টান্তরূপে তুলে ধরে নারীবাদ বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রচলিত রাষ্ট্রতন্ত্রকে পুরুষতন্ত্র আখ্যা দিয়ে নারী-ক্ষমতায়ন-এর সোচ্চার দাবি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক, আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেছে।
একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় MCQs প্রশ্ন ও উত্তর
1. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কাকে বলা হয়?
(A) গার্নার
(B) অ্যারিস্টটল✓
(C) ডেভিড ইস্টন
(D) লর্ড ব্রাইস
2. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সূচনা ও সমাপ্তি রাষ্ট্রকে নিয়ে’ — কে বলেছেন?
(A) গেটেল
(B) হবহাউস
(C) গার্নার√
(D) রবার্ট ডাল
3. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সমাজবিজ্ঞানের সেই অংশ যা রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি এবং শাসনব্যবস্থার মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করে।’ — কার বক্তব্য?
(A) ক্যাটলিন
(B) পল জানে✓
(C) বুকানন
(D) অ্যারিস্টটল
4. ‘মানুষ সামাজিক জীব’ — কে বলেছেন?
(A) গিলক্রিস্ট
(B) অ্যারিস্টটল ✓
(C) অ্যালান বল
(D) ল্যাসওয়েল
5. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান শ্রেণী সম্পর্কের বিজ্ঞান’ — কে বলেছেন।
(A) ভলতেয়ার
(B) রুশো
(C) লেনিন √
(D) সক্রেটিস
6. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান’ — কে বলেছেন?
(A) রবসন
(B) লর্ড ব্রাইস √
(C) গেটেল
(D) কার্টিস
7. ‘Politics’ (পলিটিক্স) গ্রন্থটি কার লেখা?
(A) পোলক
(B) আপটার
(C) অ্যারিস্টটল √
(D) লিপসন
8. ‘The Republic’ গ্রন্থটি কার রচনা?
(A) প্লেটো ✓
(B) সিজউইক
(C) লিকক
(D) সিলী
9. বহুত্ববাদী তত্ত্বের প্রবক্তা কে ছিলেন?
(A) গার্নার
(B) বার্জেশ
(C) ল্যাস্কি ✓
(D) গেটেল
10. প্যারিসে কোন সালে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
(A) 1918 সালে
(B) 1928 সালে
(C) 1938 সালে
(D) 1948 সালে ✓
11. রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠের একটি পরস্পরবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির নাম হল—
(A) আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি
(B) উদারনীতিবাদ দৃষ্টিভঙ্গি ✓
(C) সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি
(D) ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গি
12. রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল ‘শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান’ — উক্তিটি কার?
(A) অ্যারিস্টটল √
(B)
(C)
(D)
13. পলিটিক্স (Politics) কথাটি কোন গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে?
(A)
(B) পোলিশ (Polis) ✓
(C)
(D)
14. রাষ্ট্রবিজ্ঞান শব্দটি আধুনিক কালে কখন প্রয়োগ করা হয়?×
(A) 1890 সালে (আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থতালিকা) ✓
(B)
(C)
(D)
15. ’Politics: Who gets What, When, How’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
(A) হ্যারল্ড ল্যাসওয়েল ✓
(B)
(C)
(D)
16. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ শব্দটি সর্বপ্রথম কত সালে প্রয়োগ করা হয়?
(A)
(B)
(C) 1701 ✓
(D)
17. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
(A)
(B)
(C)
(D) লিবনিজ ✓
18. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শুরু ও শেষ রাষ্ট্রকে নিয়ে’ — কে বলেছেন?
(A)
(B)
(C) অধ্যাপক গার্নার ✓
(D)
19. ‘The Political Man’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
(A)
(B)
(C)
(D) লিপসেট ✓
20. ‘Modern Politics and Government’ বইটির লেখক কে?
(A)
(B) অ্যালান বল ✓
(C)
(D)
21. কে রাজনীতিকে ‘অর্থনীতির ঘনীভূত প্রকাশ’ বলেছেন?
(A) লেনিন ✓
(B)
(C)
(D)
22. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল মূল্যের কর্তৃত্ব সম্পন্ন বরাদ্দের পাঠ’ — কে বলেছেন?
রাজনীতি বলতে মূল্যের কর্তৃত্ব মূলক বন্টন কে বোঝাতে চেয়েছেন
রাজনীতি হলো মূল্যের কর্তৃত্ব সম্পন্ন বন্টন কে বলেছেন
(A)
(B) ডেভিড ইস্টন ✓
(C)
(D)
23. রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে কারা বিজ্ঞান হিসাবে গণ্য করতে অস্বীকার করেন?
(A) কোঁৎ
(B) মেইটল্যান্ড
(C) বাকল
(D) উপরের সকলে ✓
24. রাষ্ট্রবিজ্ঞান কোন বিজ্ঞানের শাখা?
(A) প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের
(B) সামাজিক বিজ্ঞানের ✓
(C) নৈতিক বিজ্ঞানের
(D) স্থিতিশীল বিজ্ঞানের
25. রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল একটি ————— বিজ্ঞান।
(A) স্থিতিশীল বিজ্ঞান
(B) গতিশীল বিজ্ঞান √
(C)
(D)
26.উদারনীতিবাদের প্রবক্তা কে ———।
(A) জন লক
(B) জন স্টুয়ার্ট মিল
(C)
(D)
27. ‘Law of the Constitution’ গ্রন্থটির লেখক কে?
(A)
(B)
(C)
(D) এ. ভি. ডাইসি
28. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন দৃষ্টিভঙ্গীকে বৌদ্ধিক আন্দোলন বলে অভিহিত করা যায়?
(A)
(B)
(C)
(D) ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি
29. ‘A Framework of political Analysis’ গ্রন্থটির লেখক কে?
(A)
(B) ডেভিড ইস্টন
(C)
(D)
30. ‘চূড়ান্ত বাস্তবতা হলো পৃথিবীময় ভাবের অস্তিত্ব’ — কার অভিমত?
(A)
(B)
(C)
(D) জার্মান দার্শনিক হেগেলের
31. ‘A Grammar of Politics’ বইটির লেখক কে?
(A) হ্যারল্ড ল্যাস্কি
(B)
(C)
(D)
32. আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তা কে?
(A) রবার্ট ডাল
(B) আর্থার বেন্টলি ✓
(C) ডেভিড ইস্টন
(D) গিলক্রিস্ট
33. আচরণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির জনক হিসাবে কাকে অভিহিত করা হয়?
(A)
(B) গ্রাহাম ওয়ালেশ
(C)
(D)
34. কোন দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে ডেভিড ইস্টনের নাম যুক্ত?
(A)
(B) আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গী
(C)
(D)
35. ‘দি লেভিয়াথান’ (১৬৫১) গ্রন্থের রচয়িতা কে?
(A) হবস
(B)
(C)
(D)
36. রাষ্ট্রবিজ্ঞানে রাষ্ট্রকেন্দ্রিক বা সাবেকি সংজ্ঞা প্রদান করেছেন———
অধ্যাপক গার্নার
37. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অরাষ্ট্রকেন্দ্রিক বা আধুনিক সংজ্ঞা নির্দেশ করেছেন——
লাসওয়েল।
38. ‘Modern Democracies’ গ্রন্থটি কার লেখা?
লর্ড রাইস
39. রাষ্ট্রবিজ্ঞান আলোচনায় প্রাচীনতম দৃষ্টিভঙ্গী কোনটি?
সনাতন বা চিরায়ত দৃষ্টিভঙ্গী।
40. ‘ওয়েলথ অফ নেসনস’ গ্রন্থটি কার লেখা?
এডাম স্মিথ
41. কোন দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে চার্লস ই. মেরিয়ামের নাম যুক্ত?
আচরণমূলক দৃষ্টিভঙ্গী
42. ‘দি মর্ডান স্টেট অ্যান্ড পলিটিক্স’ গ্রন্থটি কার লেখা?
ফিয়োডর বারলাটস্কি
43. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি পর্যবেক্ষণমূলক বিজ্ঞান, পরীক্ষামূলক নয়’ — কে বলেছেন?
লাওয়েল
44. ‘মনোবিজ্ঞানের মধ্যেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিকড় রয়েছে’ —কে বলেছেন?
লর্ড ব্রাইস
45. ‘ইতিহাস হল অতীত রাষ্ট্রনীতি এবং রাষ্ট্রনীতি হল বর্তমান ইতিহাস’ — কে বলেছেন?
ফ্রীম্যান
46. ‘রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মঙ্গলময় সুন্দর জীবন সম্ভব করার জন্য’ — কে বলেছেন?
অ্যারিস্টটল
47. ‘সমাজের বিরোধ, বিরোধ মীমাংসা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব সম্পর্কিত কার্যাবলীর আলোচনাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলা যেতে পারে।’ একথা কে বলেছেন?
অ্যালান বল
48. মার্কসীয় দৃষ্টিতে রাজনীতির প্রধান আলোচ্য বিষয় হল———
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা।
49. কাঠামো কার্যগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রবক্তা কে?
(A) র্যাডক্লিপ ব্রাউন ✓
(B) অ্যারিস্টটল
(C) ফ্রীম্যান
(D) লাওয়েল
50. ‘রাজনীতি’ শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
(A) গার্নার
(B) অ্যারিস্টটল ✓
(C) লিপসন
(D) সিজউইক
51. ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমিকতার বিজ্ঞান’ — উক্তিটি কার?
বর্জেশ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল রাষ্ট্রের বিজ্ঞান কে বলেছেন
গেটেল
সামাজিক রাজনীতির সপক্ষে তাত্ত্বিক আন্দোলন শুরু করেন (রবার্ট ডাল/ বেনফিল্ড/ইস্টন)।
উত্তর সামাজিক রাজনীতির সপক্ষে তাত্ত্বিক আন্দোলন শুরু করেন বেনফিল্ড।
রাজনীতির তত্ত্বগত আলোচনা সর্বপ্রথম শুরু করেন (প্লেটো / সক্রেটিস/অ্যারিস্টটল)। রাজনীতির তত্ত্বগত আলোচন্দ্র সর্বপ্রথম শুরু করেন অ্যারিস্টট্ল।
অ্যারিস্টটল কোন দেশের দার্শনিক
গ্রীক
Human nature in Politics গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন (ম্যাকেপ্তি / গ্রাহাম ওয়ালাস / সিলরি)। উত্তর Human nature in Politics গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন গ্রাহাম ওয়ালাস।
34. অ্যারিস্টড়ল ছিলেন (গ্রিক চিন্তাবিদ / রোমান দার্শনিক / জার্মান দার্শনিক)। উত্তর অ্যারিস্টট্ট্ল ছিলেন গ্রিক চিন্তাবিদ।
The Procen of Government খাটির লেখক (ডেভিড ইস্টন/আর্থার বেন্টলে/চার্লস মেরিয়াম)। উত্তর
The Process of Government গ্রন্থটির লেখক আর্থার বেন্টলে।
আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে
প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কোন ধরনের বিজ্ঞান
সমাজবিজ্ঞান
রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সর্বশেষ বিজ্ঞান উক্তিটি কার
মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কত সালে