ভারতের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির
একাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর
Understanding Constitutions: Definition and types
Definition of Constitution — Types of Constitution — Written, Unwritten, Rigid, Flexible — Merits and Demerits
সংবিধানের সংজ্ঞা — সংবিধানের প্রকারভেদ — লিখিত, অলিখিত, দুষ্পরিবর্তনীয়, সুপরিবর্তনীয় — যোগ্যতা ও দোষ
1. সংবিধানের ভাগ কয়টি?
(A) দুটি ✓
(B) তিনটি
(C) চারটি
(D) পাঁচটি
2. শাসনব্যবস্থা সম্পর্কীত মৌলিক নীতিগুলি এক বা একাধিক দলিলে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে লিখিত সংবিধান বলা হয়।
1. লুইয়ার বলেন, যে উদ্দেশ্য ও যে সমস্ত বিভাগ দ্বারা শাসন ক্ষমতা পরিচালিত হয় তাদের নিয়ন্ত্রণ করবার নিয়মাবলীকে সংবিধান বা শাসনতন্ত্র বলে।
রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একান্তভাবে প্রয়োজনীয় নিয়মকানুনসমূহের সমষ্টিকে সংবিধান বা শাসনতন্ত্র বলা হয়।
গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটল (Aristotle)-এর মতে, সংবিধান হলো রাষ্ট্রের চরম কর্তৃত্বের শৃঙ্খলাবদ্ধকরণ।
উলসের মতে, সংবিধান হলো সেই সব নীতির একত্রীকরণ যেগুলি অনুসারে সরকারের ক্ষমতা, জনসাধারণের অধিকার এবং শাসক ও শাসিতের সম্পর্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়ে থাকে।
ব্রাইস বলেন যে, সংবিধান হলো সেইসব আইনকানুন ও রীতিনীতির সমষ্টি, যেগুলি রাষ্ট্রের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
গিলক্রিস্ট এর মতে, সংবিধান হলো কতকগুলি লিখিত বা অলিখিত নিয়ম যেগুলির দ্বারা সরকার গঠিত হয়, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টিত হয় এবং ঐ সব বিভাগের কার্যক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা হয়।
ফাইনার সংবিধান বলতে মূল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাকে বোঝাতে চেয়েছেন।
লোয়েনস্টাইনের মতে, সংবিধান হোল রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি প্রধান বস্তু মাত্র।
বেঞ্জামিন অ্যাকুজিন সংবিধানকে ‘দলিল’ বলে বর্ণনা করেন।
মার্কসবাদীরা সংবিধানকে, ধনবৈষম্যমুলক সমাজব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সংবিধান হোল ধনিক-বণিক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষার প্রয়োজনে সৃষ্ট কতকগুলি নিয়মকানুন।
সুষ্ঠভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কতকগুলি মৌলিক নীতিকে সংবিধান বা শাসনতন্ত্র বলে।
সাধারণত সংবিধানকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় (১) লিখিত ও অলিখিত (২) সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয়
লিখিত সংবিধান ভারত, সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
অলিখিত সংবিধান ব্রিটেন।
শাসন সংক্রান্ত মৌলিক নীতিগুলি যখন প্রথা, আচারব্যবহার, রীতি- নাঁতি, বিচারালয়ের সিদ্ধান্ত প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে, তখন তাকে অলিখিত সংবিধান বলা হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী টকভিল বলেন, ব্রিটেনে কোনো লিখিত সংবিধান নেই।
ব্রিটিশ সংবিধানকে অলিখিত সংবিধান বলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দল প্রথা প্রভূতি লিখিত নেই।
লর্ড ব্রাইস সংবিধানকে সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় দুই ভাগে ভাগ করেছেন।
লর্ড ব্রাইস লিখিত ও অলিখিত সংবিধানকে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক বলে মনে করেন।
দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান পরিবর্তনের জন্য “বিশেষ পদ্ধতি” অবলম্বন করতে হয়
সুপরিবর্তনীয় (সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে) সংবিধান উদাহরণ: ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড।
দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান উদাহরণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।
লর্ড ব্রাইস, লিখিত শাসনতন্ত্র ব্যাখ্যা ও রীতিনীতি দ্বারা সম্প্রসারিত হইয়া থাকে, ফলে কিছুদিন পরে লিখিত নিয়মকানুন হইতে উহার স্বরূপ পূর্ণভাবে উপলব্ধি করা যায় না।
ভারতের সংবিধান সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় উভয়েরই সংমিশ্রণ।
ব্রিটিশ সংবিধানের সুপরিবর্তনীয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের সংমিশ্রণে ভারতের
অলিখিত সংবিধানের গুণ হল, নমনীয়তা, আপৎকালীন অবস্থায় বিশেষ উপযোগী,
অলিখিত সংবিধানের দোষ হল — যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার উপযোগী নয়, অস্পষ্টতা, গণতন্ত্র বিরোধী, শক্তিশালী বিচার বিভাগ
লিখিত সংবিধানের গুণ হল — স্থায়িত্ব, সুস্পষ্ট, সুনিদিষ্ট, বোধগম্য, গণতন্ত্রের স্বরুপ বজায় রাখা, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার সাফল্য
লিখিত সংবিধানের দোষ হল — দুষ্পরিবর্তনীয়তা,
দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান গুণ হল — স্থায়িত্ব, সুস্পষ্ট ও সুনিদিষ্ট, গণতন্ত্রের উপযোগী সংবিধান, সাধারণ আইন ও সাংবিধানিক আইনের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণকরা, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার উপযোগী
সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের প্রধান দোষ হল — অস্থায়ী, অগণতান্ত্রিক,
সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের প্রধান গুণ —
[দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের প্রধান গুণ হল স্থায়িত্ব।
অনেকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানকে গনতন্ত্রের উপযোগী সংবিধান বলে উল্লেখ করেন।
সংবিধানের সবচেয়ে সুন্দর গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন কে
সংবিধানের ভাগ কয়টি ও কি কি