জ্ঞান যেমন অখণ্ড অবিভাজ্য, শিক্ষাও তেমনি হবে সুসংহত, সুসংঘবদ্ধ ও অর্থপূর্ণ। বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে যে ঐক্যের শক্তি বহমান থাকে তাকে তেমনি প্রাধান্য দিতে হবে। এই বিশ্বাস থেকে এসেছে অনুবন্ধ প্রণালী (Correlation)।
অনুবন্ধের অর্থ (Menning of Correlation)
অনুবন্ধের অর্থ দুই বা ততোধিক বিষয়ের মধ্যে সম্পর্কস্থাপনের উদ্যোগ অর্থাৎ পাঠক্রমের পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত বিষয় ও প্রসঙ্গ যুগপৎ পড়ার সাহায্যে বিষয়গুলির মধ্যে স্বাভাবিক সংযোগস্থাপন করা। শিক্ষণের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যাতে জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যবিধান করে পরিপূর্ণ অখণ্ড জ্ঞান গ্রহণ করতে পারে তার চেষ্টা। অনুবন্ধের বিভিন্ন অর্থকে বিশ্লেষণ করে একটি সর্ববাদীসম্মত সংজ্ঞা দিতে পারা যায়, তা হল, “By correlation we do not mean only to mix one subject to the other but it is a sphere by which we understand that knowledge grows as a whole and it is, therefore, neither possible nor desireable to teach any subject in inter tight compartments.”
অনুবন্ধ প্রণালীর ইতিহাস (History of Correlation Method)
১৫৬১ সালে ফ্রান্সিস বলডুইনাস (Francis Balduinus) ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনুবন্ধ রচনার চেষ্টা করেছিলেন। শিক্ষাবিদ পেস্তালাৎসিও ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে অনুবন্ধ প্রণালীর বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে চেষ্টা করেছিলেন।
মনীষী হার্বার্ট জ্ঞানের অখণ্ডতা সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠন তখনই হয় যখন বিভিন্ন বিষয় মনের মধ্যে একক ও অখণ্ডে রূপান্তরিত হয়। হার্বার্টের শিষ্য জার্মান ঐতিহাসিক Ziller ইতিহাসকে একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হিসাবে গণ্য করেছিলেন। ইতিহাস বিষয় হিসাবে অন্য যে-কোনো বিষয় থেকে ব্যাপক। Ziller ইতিহাসকে অন্যান্য বিষয়ের জননী বলে মনে করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ভূগোল, দর্শন, অর্থবিদ্যা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্প (চারুকলা, চিত্রকলা, স্থাপত্য, হস্তশিল্প), সমাজবিদ্যা, সংগীত প্রভৃতি বিষয়গুলির সঙ্গেও ইতিহাস তার বিশেষ বিশেষ দিক দিয়ে জড়িয়ে আছে। প্রকৃতপক্ষে ইতিহাস হল একখানি বাড়ি, যে বাড়িতে অন্য সব বিষয় (যেমন অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, ভূগোল, দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত প্রভৃতি) নিজ নিজ কক্ষে বাস করে। ফিরদৌসি বলেছেন, ‘Potery points what history describes.’ লর্ড চ্যাথাম বলেছেন, ‘I have learnt all my English history from the plays of Shakespeare.’।
ইতিহাসের সঙ্গে সাহিত্যের সম্পর্ক (History and Literature)
ইতিহাস ও সাহিত্য উভয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রায় অচ্ছেদ্য। সাহিত্য হল মানুষের মনোজগতের যাবতীয় ক্রিয়াপ্রক্রিয়ার বিবরণী। আর ইতিহাসের উপজীব্য বিষয় হল পৃথিবীতে মানুষের যাবতীয় কার্যাবলি। সাহিত্য ও ইতিহাস সম্মিলিত হলেই মানুষের যে-কোনো কাজের একটি সংগতিপূর্ণ ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়। ইতিহাসের বিষয়বস্তু যদি সাহিত্য গুণ বর্জিত হয় তাহলে তা আর ইতিহাস থাকে না। তা হয়ে দাঁড়ায় নীরস ঘটনা পদ্ধতি। ইতিহাস রচনাতে সমৃদ্ধ কল্পনাশক্তি একান্ত অপরিহার্য।
Jhonson-এর মতে, ইতিহাসই হল সাহিত্যের উৎস, ইতিহাসের মধ্য থেকে সাহিত্য তাঁর অনুপ্রেরণা খুঁজে পায়। সাহিত্যই ইতিহাসকে জানিয়ে দেয়। বিভিন্ন যুগে মানুষের রুচিবোধ, নীতিবোধ, বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয়। সাহিত্যের মধ্যে থেকেই ইতিহাস বিভিন্ন যুগে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার স্বরূপটি উপলব্ধি করতে পারে।
প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাহিত্য, ভারতের রামায়ণ ও মহাভারত সংস্কৃত সাহিত্যের অমূল্য ভাণ্ডার। এমনকি পুথি সাহিত্যও ইতিহাসের উপাদান রূপে স্বীকৃত। জীবনী সাহিত্যও বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। সাহিত্য শিক্ষা দিতে হলেও পদ্য বা গদ্যসাহিত্যে আমরা বহু বিষয় ইতিহাস থেকে আহরণ করি। ইতিহাসের সঙ্গে ভাষা সাহিত্যের অচ্ছেদ্য বন্ধন বিদ্যমান।
ইতিহাসের সঙ্গে ভূগোলের সম্পর্ক (History and Geography)
ইতিহাসের সঙ্গে ভুগোলের বন্ধন অবিচ্ছেদ্য। উভয়ের সম্বন্ধ বড়োই নিকট। ইতিহাস ও ভূগোল একসূত্রে গ্রথিত, দুটি চোখের মতো। ইতিহাসের বিষয়বস্তু হল মানুষ ও তার বিচিত্র কার্যকলাপ, আর ভূগোলের বিষয়বস্তু হল প্রাকৃতিক জগৎ ও তার বিচিত্র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া (inter-action)। এটা চির সত্য যে ভূগোলের জ্ঞান ব্যতীত ইতিহাস উপযুক্তভাবে বোঝা যাবে না, আবার ইতিহাসের জ্ঞান থাকলে ভূগোল সহজেই বোঝা যায়। ইতিহাস পড়াবার সময় মানচিত্রের ব্যবহার খুবই দরকার। ইতিহাসের সঙ্গে যে নদী (যেমন সিন্ধুনদী, গঙ্গানদী, ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা), পাহাড়, পর্বত (যেমন হিমালয় পর্বত), বন্দর নগর (কলকাতা, হলদিয়া), শহর (তমলুক শহর), রাস্তা (গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড), খাল, সাগর, উপসাগর, মহাসাগর ইত্যাদি জড়িত। ইতিহাস বিষয় পড়াবার সঙ্গে সঙ্গে মানচিত্রে তা দেখালে ছাত্রদের মনে গভীর রেখাপাত করে।
ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনাই নির্দিষ্ট দেশ, স্থান ও পরিবেশে ঘটেছে। এই পরিবেশই তাকে বিশিষ্টতা দান করেছে। সুতরাং ইতিহাসের ঘটনাকে বাস্তব এবং নির্দিষ্ট স্থানের সঙ্গে সম্পর্কসূত্রে বোঝাবার জন্য ভূগোল বিষয়ের সাহায্য দরকার। তাই ভূগোলকে বলা হয় স্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের পরিমাপ, ইতিহাসকে বলা হয় সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের পরিমাপ। মানুষের দুটি চোখ যেমন পরস্পরের সঙ্গে সংযোগপূর্ণ, তেমনি নির্দিষ্ট জায়গায় মানুষের কাজ ও ঘটনার তাৎপর্যেই ইতিহাস চেতনার পূর্ণতা। যে-কোনো বিশেষ ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ওই বিশেষ ঘটনা কোনো বিশেষ সময়ে, কোনো বিশেষ জায়গায় ঘটেছিল। তাই ভূগোল ও সময়পঞ্জি ইতিহাসের দুটি চোখ। কোনো বিশেষ মানবগোষ্ঠী বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানে বসেই ইতিহাস সৃষ্টি করে। আর এই মানবগোষ্ঠীর জীবনে ভৌগোলিক পরিবেশের প্রভাব, জীবনযাত্রা, মানসিকতা ও শ্রম ক্ষমতার বিশেষত্ব এনে দেয়। ভৌগোলিক পরিস্থিতিই বহু সাম্রাজ্যের উত্থানপতন ও বহু যুদ্ধে জয়পরাজয় নির্ণয় করেছে।
ইতিহাসের সঙ্গে চারুকলা ও হস্তশিল্পের সম্পর্ক (History, Fine-Arts and Handicraft):
চারুকলা ও হস্তশিল্পের সঙ্গেও ইতিহাসের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মানুষের শিল্পকলা তার সভ্যতারই প্রস্ফুটিত ফুল। চিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপত্যের মধ্যে অতীতকাল রেখে গেছে তার চিহ্ন। এই চিহ্নের বিশ্লেষণ করে অতীত কালটিকেই ধরা যায়। চারুকলার তারতম্যকে অবলম্বন করেই বিভিন্ন সভ্যতার তারতম্য নির্ণয় করা যায়। ইতিহাস পড়ার সঙ্গীরূপে চিত্রাঙ্কন, মানচিত্র অঙ্কন, মডেল তৈরি প্রভৃতির সাহায্যে একদিকে যেমন ইতিহাস চেতনা সৃষ্টি করা যায়, তেমনি অপরদিকে শিল্প ক্ষমতার উৎকর্ষ সাধন করা যায়।
ইতিহাসের সঙ্গে পৌরবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সম্পর্ক (History, Civics and Political Science)
যুগ বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রচেতনারও বিবর্তন ঘটেছে। আবার রাষ্ট্রচেতনারও বিবর্তন ইতিহাসের গতিকেও প্রভাবিত করেছে। ইতিহাসের ওপর স্বৈরতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, আন্তর্জাতিকতা প্রভৃতি রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রভাব অনস্বীকার্য।
পৌরবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও দেখা যায় আমাদের পৌরবিজ্ঞান একদিনে সৃষ্টি হয়নি। পৌরবিজ্ঞানেও রয়েছে বহু সংঘাতের পরিচয়বাহী একটি ইতিহাস। পৌরবিজ্ঞানের বিবর্তন অনুসরণ করেই আজকের পৌরজীবনের সার্থক পরিচয় লাভ সম্ভব হয়েছে।
ইতিহাসের সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক (History and Economics)
অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রভাবে সমাজজীবন বিবর্তিত হয়। ষোড়শ শতাব্দী থেকে ইউরোপীয় বাণিজ্যের প্রসার, অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে শিল্পবিপ্লব, কাঁচা মালের জোগান, আর শিল্পজাত দ্রব্য বিক্রয়ের সমস্যা, বিভিন্ন দেশের অসম অর্থনীতি, অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা সংকট এবং উপনিবেশ স্থাপন ইতিহাসের গতিকে নানাভাবেই প্রভাবিত করেছে এবং আজও করেছে। ঘৃণ্য দাসপ্রথাও সেই যুগের ইতিহাসকে বিশিষ্টতা দিয়েছিল।
ইতিহাসের সঙ্গে সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক (History and Sociology)
আধুনিক শিল্প সভ্যতার যুগে সমাজবিজ্ঞান (Sociology) বা অর্থনীতি (Economics) শিক্ষার্থীর মনে বিশেষ আগ্রহ সঞ্চার করে। শিল্প সভ্যতা ও যন্ত্র সভ্যতার যুগে ইতিহাসে নূতন বিষয় সংযোজন করার প্রয়োজন দেখা দিল। এই প্রয়োজনের তাগিদে ইতিহাস সমাজবিজ্ঞানের দিকে রূপ নিল। সমাজবিজ্ঞানের তাৎপর্য ছিল সমাজের অগ্রগতি অথবা পশ্চাৎগতির বৈজ্ঞানিক কারণ বিশ্লেষণ। বর্তমানের সমাজকে ভালোভাবে বুঝতে এবং এই সমাজে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে হলে সমাজ বিবর্তনের ধারাটি বোঝা দরকার। একই নির্দিষ্ট মানবগোষ্ঠী নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিবেশে কীভাবে সামাজিক জীবনযাপন আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, রাজনৈতিক ও পৌর জীবনযাপন করে, সামাজিক আচার আচরণ ও কর্ম পালন করে, সাংস্কৃতিক জীবন ও পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করে-এসবই সমাজবিদ্যার প্রতিপাদ্য বিষয়।
ইতিহাসের সঙ্গে নৃতত্ত্বের সম্পর্ক (History and Anthropology)
আজকের দিনের ইতিহাসের পাঠ্যবিষয় হল—কী অবস্থায় মানুষের আবির্ভাব হয়েছে; প্রস্তরযুগ, ব্রোঞ্ঝযুগ অতিক্রম করে মানুষ কী করে লৌহযুগে অবতীর্ণ হয়েছে; প্রতি যুগে উৎপাদন ব্যবস্থা কীভাবে সমাজব্যবস্থাকে গড়ে তুলেছে, সভ্যতা সৃষ্টিতে উৎপাদনমুখী শ্রমের ভূমিকা, শিল্প সভ্যতায় মানুষে মানুষে সম্পর্ক ইত্যাদির বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ।
প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস রচনার সূত্রগুলি হল করোটি, নরকঙ্কাল, প্রস্তর ও হাড়ের হাতিয়ার প্রভৃতি। মহেন-জো-দারো ও হরপ্পা ও অন্যান্য স্থানে নরকঙ্কাল প্রভৃতির সাহায্যে সিন্ধুসভ্যতার নির্ভরযোগ্য ইতিহাস রচিত হয়েছে।
ইতিহাসের সঙ্গে সমাজবিদ্যা ও সমাজবিজ্ঞানের সম্পর্ক (History, Social Studies and Social Science)
মানুষ তার নিজস্ব প্রয়োজনে তৈরি করেছে সাহিত্য, গড়ে তুলেছে ধর্ম ও ধর্মীয় সংগঠন; তৈরি করেছে সমাজ ও সামাজিক গঠন, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রনীতি, শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থনীতি। ইতিহাসের পরিধি (Scope) উক্ত বিষয়ের ক্ষেত্রেই সম্প্রসারিত।
ইতিহাসের সঙ্গে তাই সমাজবিজ্ঞান ও সমাজবিদ্যার সম্পর্ক নিবিড়। সমাজবিজ্ঞানের (Social Science) মূল প্রতিপাদ্য হল সমাজ সংগঠনের রূপ ও প্রকৃতি, সমাজ সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি ও বিকাশ, সমাজ বিবর্তন ধারার বিশ্লেষণ। সমাজবিজ্ঞানের অঙ্গ হল সমাজবিদ্যা (Social Studies)। সমাজবিজ্ঞান হল কলেজ স্তরের পাঠ্যবস্তু, তবে সমাজবিদ্যা হল বিদ্যালয় স্তরের পাঠ্যবিষয়। সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু উপস্থিত হয় বিশ্লেষণ, পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে। আর সমাজবিদ্যা হল সমাজবিজ্ঞান বিষয়টির সহজ সরল রূপ। প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশে মানবসম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হয় সমাজবিদ্যায়। সমাজবিদ্যার আলোচনায় নৃতত্ত্ব, শিল্প, চারুকলা প্রভৃতি বিজ্ঞানের বিবিধ ক্ষেত্রে মানবজীবন ও সমাজ বিবর্তনে নানা উপাদান ছড়িয়ে আছে। বাঞ্ছনীয় গুণবান ও সুনাগরিক তৈরির হাতিয়ার হিসাবে সমাজবিদ্যা অন্যতম পাঠ্য বিষয় হিসাবে স্বীকৃত।
প্রকৃতপক্ষে, ইতিহাসের গর্ভেই লুকিয়ে আছে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজবিদ্যার সারবস্তু। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাগরিক চেতনা ও নৈতিক জ্ঞান জাগিয়ে তুলতে ইতিহাসপাঠ তাই অনস্বীকার্য।