কথা বলবার বিশেষ ভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। এই কথা বলার ভঙ্গি থেকে তৈরি হয় ভাষাভঙ্গি। বাগধারার ইংরেজি Idiom কথাটির অর্থ হল, ‘a form of expression peculiar to tongue’, অর্থাৎ নিজের মনের ভাব সকলে নিজের মতো করে নিজের ভাষায় বলেন। এইভাবে বলতে বলতে বিশেষ বিশেষ ভঙ্গি তৈরি হয়। বাঙালিরা দীর্ঘকাল ধরে এক ভাষাভঙ্গিতে কথা বলতে অভ্যস্ত। এই ভাষাভঙ্গি হল বাগধারা। প্রত্যেক বাগধারার একটি বিশেষ অর্থ আছে, সেই অর্থ না জানলে বাক্যে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা যায় না। নিচে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা দিয়ে অর্থসহ বাক্য রচনা করা হল।
■ দু’নৌকায় পা দেওয়া (একই সঙ্গে দুই দিক বজায় রাখবার চেষ্টা): একই সঙ্গে চাকরি বজায় রাখা আবার নিজের ব্যাবসা সামলানোর চেষ্টা করা যায় না, তা হয় দু’নৌকায় পা দেওয়ার সামিল।
■ নয়নের মণি (একান্ত প্রিয়): বাড়ির ছোটো মেয়ে কবিতা সবার নয়নের মণি হয়ে রয়েছে।
■ পাকা ধানে মই দেওয়া (সুনিশ্চিত প্রাপ্য নষ্ট হয়ে যাওয়া): তোমার তো আমি কোনো ক্ষতি করি নি, তবে তুমি আমার পাকা ধানে মই দিতে আসছো কেন?
■ বাপের বেটা (পিতার উপযুক্ত পূত্র): রশিদ খান হল বাপের বেটা, বাবার মতন সে সাহসী।
■ বালির বাঁধ (যে আশ্রয় ক্ষণস্থায়ী এবং সেজন্যই নির্ভরযোগ্য নয়): বড়ো লোকের দয়ার উপর ভরসা করা উচিত নয়—সে তো বালির বাঁধ।
■ বুকের পাটা (সাহস): বুকের পাটা আছে বটে মুজিবের। অমাবস্যার রাতে একা কবরস্থান থেকে নির্ভয়ে সে ঘুরে এল।
■ মান্ধাতার আমল (অতি প্রাচীন): মান্ধাতার আমল থেকে পণপ্রথার রীতি আমাদের সমাজে চলে আসছে, এর পরিবর্তন হওয়া দরকার।
■ মামাবাড়ির আবদার (অযৌক্তিক দাবি): তোমার মামাবাড়ির আবদার সব সময় মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
■ মাটির মানুষ (নিরীহ প্রকৃতির মানুষ): মহম্মদ নাবী হলেন মাটির মানুষ, সব রকম সাংসারিক অত্যাচার নীরবে তিনি সহ্য করে যান।
■ মিছরির ছুরি (আপাতমধুর কিন্তু অত্যন্ত মর্মভেদী কথা): বিশেষ প্রয়োজনে মালিকের কাছে কিছু টাকা ধার চাইতে গিয়ে বিরাট কোহলিকে যে কথা শুনতে হল, তা কথা তো নয়—যেন মিছরির ছুরি।
■ মুখের কথা (সহজ কাজ): আজকের দিনে এমন একটি চাকরি পাওয়া কী মুখের কথা?
■ রফা নিষ্পত্তি (মীমাংসা): মামলাটা অনেক দিন ধরেই চলছে, কিন্তু দুপক্ষের রফা নিষ্পত্তি কিছুতেই হচ্ছে না।
■ রাঘব বোয়াল (অন্যের ধন আত্মসাৎকারী প্রভাবশালী লোক): শুধু শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই নয়, চাকরী চুরির ঘটনায় অনেক রাঘব বোয়ালের হাত রয়েছে।
■ হ-য-ব-র-ল (উলটো-পালটা, বিশৃঙ্খল): দীর্ঘ ছুটির পর আমার কাজকর্ম সব হ-য-ব-র-ল হয়ে আছে।
■ হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল): হাতের পাঁচ ব্যাবসাটি তো রইলই, তবু সরকারি চাকরির চেষ্টাটা একবার করে দেখি।
■ চাঁদের হাট (সুন্দর ও সুবেশ মানুষজনের সমাবেশ): ঐশ্বর্যের বিয়েতে নায়ক, নায়িকাদের সমাগমে যেন চাঁদের হাট বসেছে।
■ চোখে চোখে রাখা (নজর রাখা): মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত টানের স্বভাব আছে, তাকে চোখে চোখে রাখা দরকার।
■ চোখে সর্ষে ফুল দেখা (বিমূঢ় বোধ করা): রাজেশের ঘুষি খেয়ে গুন্ডাটা এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখল।
■ চুনোপুঁটি (সামান্য মানুষ): শিল্পপতিদের আলোচনা সভায় আমাদের মতন চুনোপুঁটিদের কোনো স্থান নেই।
■ ছেলের হাতের মোয়া (সহজে অর্জিত জিনিস): স্বাধীনতা অর্জন করা ছেলের হাতের মোয়া নয়, তার পিছনে অনেক আত্মত্যাগ থাকে।
■ জগা-খিচুড়ি (বিসদৃশ মিশ্রণ): যাদব, তুমি একই সঙ্গে বাংলা ও হিন্দি মিশিয়ে কথা বলো—এ যে দেখছি জগা-খিচুড়ি ভাষা।
■ জলের আলপনা (ক্ষণস্থায়ী): যে মেলামেশার ভেতর আন্তরিকতা না থাকে, সে মেলামেশা কখনো স্থায়ী হয় না, তা হল জলের আলপনা।
■ টইটুম্বুর (কানায় কানায় পূর্ণ): এ বছরের বৃষ্টিতে খাল-বিল-নদীনালা সব কিছুই ভরে টইটুম্বুর হয়ে গেছে।
■ টনক নড়া (খেয়াল হওয়া, হুঁশ হওয়া): আগে তো আমার সতর্ক হবার কথাটা গোপাল কানেই নেয়নি, এখন আসন্ন সংকটে ওর টনক নড়েছে।
■ ঠুঁটো জগন্নাথ (অক্ষম): ঘরে চাল বাড়ন্ত, তাই ঠুঁটো জগন্নাথের মতো বসে না থেকে কিছু রোজগারের চেষ্টা করো।
■ ঠোঁট কাটা (স্পষ্ট বক্তা): সজল দা ঠোঁট কাটা মানুষ, অপ্রিয় সত্যি কথাগুলো মুখের ওপর বলে দেন।
■ ডুমুরের ফুল (অদৃশ্য): কীরে, বিয়ের পর যে তোকে দেখতে পাই না, তুই একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে গেলি না কি?
■ ঢাকের বায়া (অকর্মণ্য সঙ্গী, যে সঙ্গে থাকে কিন্তু কোনো কাজে লাগে না): হরিদাসের মতো ঢাকের বায়া, সঙ্গে থাকাও যা না থাকাও তাই।
■ তাসের ঘর (পলকা, ভঙ্গুর): দশ সেকেন্ডের ভূমিকম্পে শহরের ঘরবাড়ি তাসের ঘরের মতন ভেঙে পড়ল।
■ তীর্থের কাক (পাওয়ার প্রত্যাশী): ইন্টারভিউ দিতে এসে সবাই তীর্থের কাকের মতন বসে আছে কখন যে ডাক পড়বে তার ঠিক নেই।
■ দু’মুখো সাপ (যার কাছে যেমন, তার কাছে তেমন): অভিষেক একটা দু’মুখো সাপ, তোমার কাছে একরকম বলে, সফির কাছে অন্য রকম।
■ আক্কেল সেলামি (বোকামির দণ্ড): বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠে রমেনকে টিকিট কালেক্টরের কাছে ডবল ভাড়া গুনে আক্কেল সেলামি দিতে হল।
■ আকাশ থেকে পড়া (না-জানার ভান করা অথবা না-জানার জন্য বিস্ময় প্রকাশ করা): আমার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লে যে ভায়া, তুমি কি কোনো কিছুই জান না?
■ আঠারো মাসে বছর (ঢিলেঢালা, দীর্ঘসূত্রিতা): দেবুর আঠারো মাসে বছর, ওর সঙ্গে গেলে কোনো দিন ঠিক সময়ে স্কুলে যাওয়া হবে না।
■ আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি কথা, উদ্ভট গল্প): শঙ্কু তার অপকর্মের সাফাই দিতে গিয়ে বিরাট এক আষাঢ়ে গল্প ফেঁদে বসল।
■ আঁতে ঘা (অন্তরে আঘাত, মনের দুর্বল জায়গায় ঘা দেওয়া): কোনো পিতা-মাতার উচিত নয় ছেলেমেয়েদের আঁতে ঘা দিয়ে কথা বলা।
■ ইঁচড়ে পাকা (অকালপক্ক): শিবেনকে মোটেই পাত্তা দেওয়া উচিত নয়, ছেলেটি বয়সের তুলনায় বেশি বকে, একেবারে যেন ইঁচড়ে পাকা।
■ উত্তম মাধ্যম (প্রচণ্ড মারধোর করা, ধোলাই দেওয়া): হাতেনাতে ধরে ফেলার পর চোরটাকে পাড়ার লোকজন খুব উত্তম মাধ্যম দিল।
■ উভয় সংকট (দু-দিকেই বিপদ বা ঝামেলা): আমার হয়েছে উভয় সংকট, রামের বিয়েতে না-গেলে চলবে না, আবার শ্যামের জন্মদিনেও হাজির থাকা চাই, কী যে করি!
■ একাই একশো (নিজেই সব কাজ করতে সক্ষম): বোনের বিয়েতে কাজ করার জন্য আর কেউ না থাক, সূর্য তো রয়েছে, তা হলেই হবে, সে একাই একশো।
■ ওজন বুঝে চলা (নিজের ক্ষমতা বা গুরুত্ব বুঝে চলা): স্বরূপবাবু যদি নিজের ওজন বুঝে খরচ করতেন, তাহলে আজকে তাঁকে এমন অভাবে পড়তে হত না।
■ কড়ায় গন্ডায় (পুরোপুরি): আমার পাওনাটা আমি কড়ায় গন্ডায় আদায় করে নেব, এক কণাও ছাড়ব না।
■ কেউকেটা (গণ্যমান্য লোক): হাবেভাবে সাধারণ মনে হলেও, রামবাবু এ শহরের একজন কেউকেটা মানুষ।
■ কেঁচে গণ্ডুষ (নতুন করে আরম্ভ করা): মাসখানেকের পুজোর ছুটিতে আড্ডা মেরে হরিলাল সব অঙ্ক ভুলে গেছে, এখন আবার তাকে কেঁচে গণ্ডুষ করতে হবে।
■ গদাইলস্করি চাল (অত্যন্ত ধীরগতিতে চলা): ওর যে-রকম গদাইলস্করি চাল, ট্রেনটি ঠিক মতন ধরতে পারবে বলে মনে হয় না।
■ গোড়ায় গলদ (সূচনাতেই ত্রুটি): তোমার হয়েছে গোড়ায় গলদ—পরিবারটা কেমন, তো না জেনেই মেয়েটার বিয়ে দিলে, এখন আক্ষেপ করা ছাড়া আর উপায় কী!
■ ঘোড়ার ডিম (অলীক বস্তু, কিছুই না): অসাধু উপায়ে যতই তুমি তড়িঘড়ি নিজের হাল ফেরানোর চেষ্টা করোনা কেন, তোমার শেষ পাওনা হবে কিন্তু ঘোড়ার ডিম।
■ চক্ষুশূল (অপছন্দ, অপ্রিয়): চাকরিপ্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল সরকারের চক্ষুশূল, তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই সহ্য করতে পারেন না।
■ অহি-নকুল সম্পর্ক (চিরশত্রুতা): পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে এখন অহি-নকুল সম্পর্ক যে দেখা হলেই দুজনের মধ্যে মারামারি বেধে যায়।
■ অষ্টরম্ভা (মূল্যহীন, ফাঁকি, কিছুই না): বাইরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পণ্ডিতি ভাব দেখায়, কিন্তু লেখাপড়ায় সে অষ্টরম্ভা।
■ অমাবস্যার চাঁদ (বিরল বা কদাচিৎ দেখা পাওয়া): তুমি তো অমাবস্যার চাঁদের মতো দেখা দাও।
■ অজগর বৃত্তি (কোনো কাজ না করে খাওয়া): রথীন অজগর বৃত্তি করছে, কোনো কাজ করে না।
■ পটল তোলা (মারা যাওয়া): রমেশ লোকটি হঠাৎ পটল তুলেছেন।
■ সাত সতেরো (অতিরিক্ত বা অকারণে চিন্তা করা): তাপস বাবু সাত সতেরো ভাবেন, কিন্তু কোনো কাজ করেন না।
■ অন্ধের যষ্ঠি (একমাত্র অবলম্বন): পিসিমার রেখে যাওয়া সম্পত্তি রমেনের অন্ধের যষ্ঠি।
■ অতি লোভে তাঁতি নষ্ট (অতিরিক্ত লোভে সবকিছু নষ্ট হওয়া): অতি লোভে তাঁতি নষ্ট, তাই সবসময় সতর্ক থাক।
■ অতি চালাকের গলায় দড়ি (বেশি চালাকি করলে বিপদে পড়া): পার্থ বড়ুয়া নিজেকে চালক মনে করতো, শেষমেশ অতি চালাকের গলায় দড়ি পড়েছে।
■ অকাল বোধন (অপ্রত্যাশিত বা সময়ের আগেই কিছু হওয়া): পার্থ প্রতিমের অকাল বোধন তাঁর পরিবারে ভালো ফলাফল আনেনি।
■ অন্ধ অনুকরণ (বিনা বিচার-বিশ্লেষণ অন্যের অনুসরণ করা): অন্ধ অনুকরণের ফলে হাবিবের ব্যাবসায় বিশাল ক্ষতি হলো।
■ অরণ্যে রোদন (কোনো ফলপ্রসূ না হওয়া): কাহিরুলের অনুরোধ ছিল অরণ্যে রোদনের মতো, কেউ শোনে না।
■ অকাল কুষ্মাণ্ড (সময়ের পূর্বে পাকা বা পরিণত ব্যক্তি): অনামিকা অকাল কুষ্মাণ্ডের মতো সব বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করে।
■ সপ্তমে চড়া (অত্যন্ত রাগান্বিত হওয়া): বাবার সামান্য কথাতেই নিমাই সপ্তমে চড়ে গেল।
■ অনধিকার চর্চা (নিজের অধিকার নেই এমন বিষয়ে মাথা গলানো): রবীন সর্বদা অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে অনধিকার চর্চা করায়, অনেকে তাঁর উপর রাগান্বিত।
■ অগ্নিপরীক্ষা (কঠিন পরীক্ষা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা): প্যালেস্টাইন যুদ্ধে জায়নবাদী সৈনিকদের অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
■ আকাশ কুসুম (অসম্ভব কল্পনা বা দিবাস্বপ্ন): আকাশ কুসুম কল্পনা করে লাভ নেই, বাস্তবে মনোযোগ দাও।
■ ইঁদুর কপালে (হতভাগ্য বা নিতান্ত মন্দ ভাগ্য): ছোটো খাটো চাকরিতে পলাশের ইঁদুর কপালে দুর্ভোগেই কাটবে।
■ ইতি গজ (শেষ কথা): রমেনের কথাতেই ইতি গজ হলো, আর কোনো আপত্তি রইলো না।
■ ঈদের চাঁদ (আকাঙ্ক্ষিত বস্তু): রাকেশ তো ঈদের চাঁদ, কখনো দেখা যায় না।
■ ঈগল স্বভাব (শিকারি ও ধারালো বুদ্ধি): দীপ্সিতার ঈগল স্বভাবের কারণে সব সময় কাজে সাফল্য আসে।
■ আদিখ্যেতা
■ ইঁদুর দৌড়
■ আটকপালে
আঠার আনা
আদার ব্যাপারী
আটপৌরে
আউলিয়া চাঁদ
আলালের ঘরের দুলাল
ইতর বিশেষ বাগধারা দিয়ে বাক্য
ইলশেগুঁড়ি
উড়নচন্ডী
উত্তম মধ্যম
উনপাঁজুরে
উলুখাগড়া
গণেশ উল্টানো
উড়ে এসে জুড়ে বসা
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো
উনিশ বিশ
একাদশে বৃহস্পতি
এক কথার মানুষ
একগুঁয়ে
এলেবেলে
এক হাতে তালি বাজে না
এক বনে দুই বাঘ
এক গোয়ালের গরু
শ্রীঘর
অগাধ জলের মাছ
ওজন বুঝে চলা
ওষুধ পড়া
ঔষধ ধরা
ওষুধে ধরা
কলুর বলদ
কান পাতলা
কূপমণ্ডূক
কথার কথা
কাক ভূষণ্ডি
কাঁঠালের আমসত্ত্ব
কাঠের পুতুল
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
কই মাছের প্রাণ
কলা দেখানো
খন্ড প্রলয়
খয়ের খাঁ
খোদার হাসি
গোঁফ খেজুরে
ঘা খাওয়া
গুড় খোঁজা
নাড়ির খবর
গভীর জলের মাছ
বাগধারা গাছ পাথর
বাগধারা গোপন ইশারা
বাগধারা গড্ডালিকা প্রবাহ
গলগ্রহ বাগধারা
গৌরীসেনের টাকা বাগধারা
গরু মেরে জুতা দান বাগধারা
গৌরচন্দ্রিকা বাগধারা
গুড়ে বালি বাগধারা
গোকুলের ষাঁড় বাগধারা
ঘোড়ার ঘাস কাটা বাগধারাটির অর্থ কি
ঘোড়া রোগ বাগধারা
ঘরপোড়া গরু বাগধারা অর্থ
ঘর জাত করা বাগধারা
ঘন্টা গরুর বাগধারা
ঘরের শত্রু বিভীষণ বাগধারা
আড়ংঘাটা বাগধারা
গয়ংগচ্ছ’ বাগধারাটির অর্থ-
বাগধারা চোরের মার বড় গলা
বাগধারা চোখের বালি
বাগধারা চিনির বলদ
চোরাবালি বাগধারা
চক্ষুশূল বাগধারা
বাগধারা ছাই চাপা আগুন
চোখের বালি বাগধারা
চিনে জোঁক বাগধারা
চক্ষু দান করা বাগধারা
চিনির পুতুল বাগধারা
চোখের মনি বাগধারা
ছাপোষা বাগধারা অর্থ কি
লাগাম ছাড়া বাগধারা
নয় ছয় বাগধারা
মেঘের ছায়া বাগধারা
ছাতা দিয়ে মাথা রক্ষা বাগধারা
ছাই চাপা আগুন বাগধারা
ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো বাগধারা
ছেলের হাতের মোয়া বাগধারা
ঠুঁটো জগন্নাথ বাগধারা
মানিক জোড় বাগধারা
অথৈ জল বাগধারা
জুতা মেরে গরু দান বাগধারা
জগদ্দল পাথর বাগধারা
জোর কপাল বাগধারা
বাগধারা দুধের মাছি
দিবাস্বপ্ন বাগধারা
দা কুমড়া বাগধারা
দক্ষিণ হস্ত বাগধারা
করাতের দাঁত বাগধারা
দক্ষযজ্ঞ বাগধারা
ঝোপ বুঝে কোপ মারা বাগধারা
ঝাঁকের কই বাগধারা
ঝড়ো কাক বাগধারা
টানাপোড়েন বাগধারা
টাকার আন্ডিল বাগধারা
টাকার গরম বাগধারা
টেকে গোঁজা বাগধারা
টীকা ভাষ্য বাগধারা
টনক নড়া বাগধারা
টীকা ভাষা বাগধারা
টোপ ফেলা বাগধারা অর্থ কি
ঠোঁটকাটা বাগধারা
ঠক বাছতে গাঁ উজাড় বাগধারা
ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় বাগধারা
ঠেকা মেয়ে বাগধারা
তামার বিষ বাগধারাটির অর্থ কি
ডাকাবুকো বাগধারা
শিয়ালের ডাক বাগধারা
ডুব মারা বাগধারা
ডান হাতের ব্যাপার বাগধারা
ডামাডোল বাগধারার অর্থ কি
ঢাকের কাঠি বাগধারা
আগুনে ঘি ঢালা বাগধারা
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা বাগধারা
আমরা কাঠের ঢেকি বাগধারা
তিন মাথা এক হওয়া বাগধারা
বাগধারা তালপাতার সেপাই
বাগধারা তীর্থের কাক
তালকানা বাগধারা
তীর্থের কাক বাগধারা
তুষের আগুন বাগধারা
তালপাতার সেপাই বাগধারা
তীর্থের কাক বাগধারা বাক্য রচনা
তিলকে তাল করা বাগধারা
তীর্থের কাক বাগধারা বাক্য
তুর্কি নাচন বাগধারা
বাগধারা ব্যবহারের সময়ে ভাষা ব্যবহারকারীকে কোন বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়
আকাশ থেকে পড়া বাগধারা
থই থই করা
দুঃখের বাগধারা
কেউকেটা বাগধারা দিয়ে বাক্য রচনা
কোন বাগধারা দ্বারা ভনিতা বোঝানো হয়
দুর্লভ বস্তু অর্থে বাগধারা
দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ এর বাগধারা
দুমুখো সাপ বাগধারা
দৃঢ় সংকল্প বাগধারা
দুর্বা গজানো বাগধারা
ধামাধরা বাগধারা
গোলক ধাঁধা বাগধারা
ধরি মাছ না ছুঁই পানি বাগধারা
ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির বাগধারা
ধর্মের ষাঁড় বাগধারা
বাগধারা নয় ছয়
বাগধারা ননীর পুতুল
বাগধারা নখ দর্পনে
বাগধারা নদের চাঁদ
নাছোড়বান্দা বাগধারা
নদের চাঁদ বাগধারা
ননীর পুতুল বাগধারা
নিজের প্রশংসা নিজে করা বাগধারা
ননীর পুতুল বাগধারা অর্থ কি
নাটের গুরু বাগধারা
নিমরাজি বাগধারা
নাক গলানো বাগধারা
বাগধারা প্রতিচ্ছবি
পঁচিশ বছর বাগধারা লিরিক্স
পগার পার বাগধারা
পেট পাতলা বাগধারা অর্থ
পত্রপাঠ এর বাগধারা কি
ফ্যা ফ্যা করা বাগধারা
ফুলটুসি বাগধারা
ফুলবাবু
বাগধারা বাগবিধি
বিনা মেঘে বজ্রপাত বাগধারা
বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধা বাগধারা
ভণিতা বাগধারা
ভুতের মুখে রাম নাম বাগধারা
ভূতের বেগার বাগধারা
ভাতে মারা বাগধারা
বাগধারা মাছের মা
বাগধারা বাঘের মাসি
সিদুরে মেঘ বাগধারা অর্থ
মাছের মায়ের পুত্র শোক বাগধারা
মুখে মধু অন্তরে বিষ বাগধারা
মাছের তেলে মাছ ভাজা বাগধারা
মন্দের ভালো বাগধারা
অন্ধের যষ্টি বাগধারা
অগস্ত্য যাত্রা বাগধারা
শিয়ালের যুক্তি বাগধারা
যার কোন মূল্য নেই এর সমার্থক বাগধারা কোনটি
যার কোনো মূল্য নেই বাগধারা
যত গর্জে তত বর্ষে না বাগধারা
যার অনেক বুদ্ধি আছে বাগধারা
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ বাগধারা
বেহায়া অর্থ নিচের কোন বাগধারা দিয়ে প্রকাশ করা যায়
বাগধারা রাবণের চিতা
রাশভারি বাগধারা
রুই কাতলা বাগধারা
রথ দেখা কলা বেচা বাগধারা
রাবণের গুষ্টি বাগধারা
রাবণের চিতা বাগধারা
শিরে সংক্রান্তি বাগধারা বাক্য রচনা
লোহার কার্তিক বাগধারা
বাগধারা শাখের করাত
শ্রমবিমুখ বাগধারা
শরতের শিশির বাগধারা
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা বাগধারা
শাপে বর বাগধারা
শিরে সংক্রান্তি বাগধারা অর্থ কি
শাখের করাত বাগধারা
শকুনি মামা বাগধারা
ষোল আনা বাগধারা
ষোলকলা বাগধারার অর্থ
বাগধারা সোনার পাথর বাটি
বাগধারা সমর পাল
বাগধারা সংকটের পূর্বাভাস
বাগধারা সাতকাহন
বাগধারা সমার্থক
সুসময়ের বন্ধু বাগধারা
সাপে বর বাগধারা
সুখের পায়রা বাগধারা
সোনায় সোহাগা
সমার্থক
স্পষ্টভাষী
হাতে আকাশ পাওয়া
হাত করা
হযবরল
হাতটান
হাতে কলমে
হরি ঘোষের গোয়াল
হাতে দুর্বা গজানো
হরিহর আত্মা
হচ্ছে হবে
হাত কামড়ানো
হাত ধুয়ে বসা
ত্রিশংকু দশা