পৃথিবীর অধিকাংশ বৃহৎ রাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হলেও সমস্ত রাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তির অধিকারী নয়। আবার সমস্ত পারমাণবিক শক্তির অধিকারী রাষ্ট্র বৃহৎ শক্তির মর্যাদাভুক্ত নয়। G-8 রাষ্ট্রগুলির মধ্যে চারটি দেশ পারমাণবিক শক্তির অধিকারী। U.N.O. নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি সদস্যরাষ্ট্র Nuclear State হিসেবে পরিগণিত হয়। ভারত G-8 বা নিরাপত্তা পরিষদ কোনোটির সদস্যভুক্ত নয়। ভারত পারমাণবিক শক্তিভুক্ত রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যোগদান করেছে। Stephen. P. Cohen তাঁর ‘Emerging Power India’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, প্রাথমিক পর্যায়ে পারমাণবিক শক্তি থেকে বিশেষত বিরত থাকার পর্যায় থেকে Nuclear Thresold State থেকে ১৯৯৮ সালে স্বঘোষিত পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসাবে রূপান্তরের বিষয়টি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।
ভারতের পারমাণবিক নীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ভারত জাতীয় স্বার্থ ও ন্যায়নীতির মধ্যে সংগতি বজায় রেখেছিল, ফলে পারমাণবিক পরীক্ষা নিরীক্ষা ও অস্ত্রশস্ত্র নিষিদ্ধকরণের ব্যাপারে ভারত আগ্রহ প্রদর্শন করে। নীতিগত ভাবে ভারত পারমাণবিক পরীক্ষা নিরীক্ষা নিষিদ্ধকরণের প্রবক্তা হলেও কার্যত ভারতের স্বাধীনতার পূর্বে হোমি জাহাঙ্গির ভাবার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ‘Tata Institution of Fundamental Research’ প্রতিষ্ঠিত হয়। হোমি জাহাঙ্গির ভাবা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিকেরা প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে পারমাণবিক শক্তির সুযোগ সুবিধে সম্পর্কে বোঝাবার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে ভারতবর্ষে থোরিয়াম প্রাচুর্যের দরুন পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের ব্যাপারে অধিকতর সুযোগ সুবিধে ছিল। এর ফলে ভারতের অগ্রগতি ও বিকাশ দ্রুত সম্ভবপর হবে বলে আশা পোষণ করা হয়েছিল। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে ‘Atomic Energy Commission’ গড়ে তোলা হয় এবং এর প্রথম চেয়ারম্যানের পদে অধিষ্ঠিত হন হোমি জাহাঙ্গির ভাবা। এই ব্যাপারে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের পূর্বশর্ত হিসাবে পরিকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন ছিল। ১৯৫৬ সালে ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিকদের দ্বারা পরিকল্পিত ‘Research Reactor Apsara’ গড়ে তোলা হয় এবং একটি ‘Research Reactor Cirus’ কানাডা কর্তৃক প্রদত্ত হয়। এই পর্যায়ে পারমাণবিক ব্যাপারে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের ব্যাপারটি পুরোপুরি ভাবে প্রযুক্তিগত ছিল। এর সঙ্গে রাজনৈতিক প্রশ্ন তখনো জড়িত হয়ে পড়েনি।
১৯৬৪ সালে ১৬ই অক্টোবর চিন সিকিয়াং-এর Lopnur-এ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। চিনের এই ঘটনা পারমাণবিক বিকাশের বিষয়টিকে রাজনৈতিক মাত্রা প্রদান করে। ১৯৬৫ সালে হোমি জাহাঙ্গির ভাবা দাবি করেন যে, ১৮ মাসের মধ্যে ভারত পারমাণবিক শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। ফলে ভারতের পারমাণবিক বিষয়কে কেন্দ্র করে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয় তা রাজনীতি, অর্থনীতি, নৈতিকতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং প্রযুক্তির ব্যাপারটি গৌণ হয়ে দাঁড়ায়।
চিন কর্তৃক মহাকাশে বিস্ফোরণের পর ভারতের নীতি নির্ধারণকারীদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন ঘটলেও তাদের মধ্যে বিশেষ ব্যস্ততা দেখতে পাওয়া যায় না। এই সময় ভারতের প্রতিমন্ত্রী শ্রী এস. বি. চ্যবন (Shri S.B. Chavan) যে ধরনের বিবৃতি দেন তা বাস্তববোধবর্জিত ছিল। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মোরারজি দেশাই বক্তব্য রাখেন তাতে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন। বাস্তবোচিত মনোভাবের পরিচয় দিয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ভারতের পারমাণবিক নীতিতে পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে ভারত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে—এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভারতের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ সাড়া জাগাতে পারেনি। ভারতের নীতিতে সুস্পষ্ট পরিবর্তন ঘটে ১৯৬৭ সালে, যখন পারমাণবিক শক্তি নিরোধ চুক্তিতে ভারত স্বাক্ষর প্রদান করেনি কেননা এই চুক্তি বৈষম্যমূলক ছিল। 1974 সালের মে মাসে ভারত প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায় ।
১৯৭৪ সালের মে মাসে ভারত প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। ভূগর্ভে বিস্ফোরণ ঘটানোর দরুন ১৯৬৩ সালের চুক্তিকে ভারতের দিক থেকে লঙ্ঘন করা হয়নি যদিও চিন মহাকাশে এই পরীক্ষা চালানোর ফলে এই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু উন্নত দেশ ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় কিন্তু ভারতের দৃঢ় মনোভাবের দরুন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী হয়নি। এই উন্নত রাষ্ট্রগুলি ভারতকে প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহ করতে রাজি হয়নি। শুধু তাই নয়, আমেরিকা চেষ্টা করেছিল যাতে ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করতে না পারে। এছাড়া ভারতের উপর পারমাণবিক নীতি সম্পর্কে নানান বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ১৯৯৮ সালের ১১ এবং ১৩ মে ভারত পুনরায় দুটি পরমাণু বিস্ফোরণের দাবি জানায় এবং Nuclear State হিসাবে স্বীকৃতির দাবি করে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পশ্চিমি শক্তি ও চিনের প্রতিক্রিয়া ছিল বৈরী মনোভাবাপন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় আশ্চর্যান্বিত হয়েছিল কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা এই ঘটনার আগাম কোন সংবাদ দিতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ভারতের ওপর অবরোধ আরোপ করে। চিন প্রত্যুত্তরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের গৃহীত নীতিকে আরো বেশি জোরদার করে তোলে। এই বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের মধ্যেই যে বিতর্কের সূত্রপাত হয় তা আরো অনেক বেশি জটিল ছিল। এই পদক্ষেপে যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন তাঁরা বক্তব্য রাখেন যে ভারতের ন্যায় দেশের অর্থনীতির পক্ষে এই জাতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজনীয় ছিল না। দ্বিতীয়ত, এর ফলে পারমাণবিক ক্ষেত্রে অহেতুক প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে। অধ্যাপক জয়ন্তকুমার রায় ১৯৯৮ সালে আনন্দবাজার পত্রিকায় দুটি প্রবন্ধ লেখেন এবং তিনি বলেন পারমাণবিক বিস্ফোরণ যুক্তিযুক্ত ছিল।
অধ্যাপক রায়ের যুক্তি হল, C.T.B.T-তে স্বাক্ষর প্রদান করার পরেও Nuclear State ভুক্ত রাষ্ট্রগুলি পারমাণবিক বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে গেছে। উন্নত রাষ্ট্রগুলি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এত বেশি এগিয়ে গেছে যে তাদের ভূগর্ভ বা মহাকাশে পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। পরীক্ষাগারে অত্যন্ত উন্নত ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে তারা গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে পারে। ফলে উন্নত রাষ্ট্রগুলি C.T.B.T স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ায় এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি হয়। চিনও তাদের পরীক্ষাগারে একাধিকবার পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে পারমাণবিক ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয় কাজেই ভারতেরও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির বিচারে এই জাতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তাছাড়া শুধু দারিদ্র্য দূরীকরণ রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের মানদণ্ড হলেও পারমাণবিক ক্ষেত্রে এর উন্নতি ঘটানো সম্ভবপর হবে না। পারমাণবিক দিক দিয়ে উন্নত কিছু রাষ্ট্র রয়েছে যেগুলি দারিদ্র্য জর্জরিত। চিনের এখনো বহু অঞ্চল দারিদ্র্য সীমার নীচে। ভারতের ক্ষেত্রে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হয়নি তার কারণ পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাজনিত খরচ নয়, এর মূলে হল রাষ্ট্রীয় এবং আধা রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলিতে ভ্রষ্টাচার ও অপচয়। পারমাণবিক ক্ষেত্রে যে অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে সেই অর্থ হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল তৈরি করার কাজে বিনিয়োগ করা যেতো কিন্তু ব্যতিক্রম সাপেক্ষে এগুলির কোন মূল্য সাধারণ মানুষের কাছে নেই বললেই চলে, যদি জাতীয় নিরাপত্তা না থাকে তাহলে এগুলির অস্তিত্ব নিরাপদ থাকবে না।
সমালোচকদের বক্তব্য হল বিস্ফোরণের দরুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি ভারতের ওপর অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু এর ফলে ভারতের যে অসুবিধা হয়েছে তার চাইতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসুবিধা হয়েছে অনেক বেশি। ২০০০ সালের মধ্যে অবশ্য এই জাতীয় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মার্কিন সংস্থা চাপ সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র C.T.B.T.-তে স্বাক্ষর প্রদানের পূর্বশর্ত হিসাবে এই বিষয়টি প্রদান করার ফলে এই বিষয়টি মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এরূপ পরিস্থিতিতে ভারত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি মতৈক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মনে করেছিল।
১৯৯৮ সালের আণবিক বিস্ফোরণের সমালোচকরা বলে থাকেন যে এর ফলে পাকিস্তান এক ধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে কিন্তু অধ্যাপক জয়ন্তকুমার রায়ের মতে, এর মূলে ছিল অজ্ঞতা। ভারতের হাতে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পরাজিত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তান অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণের ব্যাপারে অত্যন্ত বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তারা তাদের পদ্ধতিকে ‘ইসলামিক বোমা’ হিসাবে আখ্যা দেয়। পাকিস্তানের এই জাতীয় কার্যকলাপের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আগ্রাসী মানসিকতা বাড়তে থাকে। ১৯৮০-র দশকে পাকিস্তান চিনের মাটিতে পারমাণবিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পায়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ‘Offensive Defence’ নামে নতুন নীতি গ্রহণ করে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে ব্যবধান বেড়ে যায়। এরূপ পরিস্থিতিতে ভারতের সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে এই জাতীয় একটি ধারণা গড়ে ওঠা স্বাভাবিক যে আত্মরক্ষার দিক থেকে ভারত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এইরূপ ধারণা পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলবে। BBC-র ভাষ্যকারেরা বলেন যে, পাকিস্তান শুধু ভারতকেই ভীতি প্রদর্শন করেনি, করেছিল সমস্ত বিশ্বকেই। ১৯৯৮ সালের পারমাণবিক বিস্ফোরণ যদি ভারতের দিক থেকে করা না হতো তাহলে পাকিস্তানের হঠকারী মনোভাব আরো বৃদ্ধি পেত। কিন্তু ভারতের পারমাণবিক বিস্ফোরণ পাকিস্তানের অনিয়ন্ত্রিত আত্মবিশ্বাসকে অন্তত কিছুটা বাধা প্রদান করেছে।
আমেরিকা ভারতের প্রতি যে ধরনের নীতি গ্রহণ করেছিল তা অল্পকালের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। ভারতের দিক থেকে বোঝানো সম্ভবপর হয় যে ভারতীয় নীতি সামগ্রিকভাবে মানবসমাজের হিতসাধনের উদ্দেশ্য নিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং ভারত যে কোন ধরনের বৈষম্যের পরিপন্থী। ভারত সুনির্দিষ্ট ভাবে বক্তব্য রাখে, যে সমস্ত দেশের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে ভারত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না।
অতীত থেকে যদি কোন শিক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে দেখা যাবে যে ইতিহাসে বর্তমানকালের বৃহৎ রাষ্ট্র যেমন আমেরিকা ও জাপানের থেকে ভারতের সাংস্কৃতিক দিক থেকে অবদান অনেক বেশি ছিল। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে ভারতের প্রাধান্য বিলুপ্ত হয়। একদা প্রবল প্রতিপত্তিশালী গ্রিক ও রোমান সভ্যতা কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। কেন না সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে পশ্চাদপদ সামাজিক দিক দিয়ে শক্তিশালী বহিরাক্রমণের মুখে গ্রিস ও রোমের প্রাধান্য খর্ব হয়। ইতিহাসের শিক্ষা গ্রহণ করলে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে অন্যান্য ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণের সঙ্গে সামরিক দিক দিয়ে আধুনিকীকরণের দিক গুলিকে বজায় রাখতে হবে।