ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা ক্ষমতা বলতে কী বোঝায়? বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার প্রকৃতি কী ছিল?
Share
Sign up to our social questions and answers engine to ask questions, answer people's questions, and connect with others.
Log in to our social Questions & Answers engine to ask questions, answer people's questions, and connect with others.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
পার্লামেন্টের আইন, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের আদেশ সংবিধানবিরোধী কিনা তা বিচার করে দেখার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে। পার্লামেন্টের আইন বা রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালদের আদেশ বা নির্দেশ সংবিধানসম্মত না হলে সুপ্রিম কোর্ট তা অবৈধ ঘোষণা করতে পারে। এই ঘোষণার ফলে সংশ্লিষ্ট আইন, আদেশ বা নির্দেশটি বাতিল হয়ে যায়। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এই বিশেষ ক্ষমতাকে ‘বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা’ (Power of judicial review) বলা হয়। এই ক্ষমতার প্রয়োগ করে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭০ সালের রাজন্যভাতা বিলোপ-সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ বাতিল করে দেয়।
◇ বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার প্রকৃতি
সুপ্রিম কোর্টের ‘বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা’র প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সমগোত্রীয় নয়। এক্ষেত্রে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা যথেষ্ট কম। ‘আইনের যথাবিহিত পদ্ধতি অনুসারে’ মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট আইনটি যথাযথ সাংবিধানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরি হয়েছে কিনা তাই-ই দেখে না, সেই সঙ্গে এটাও দেখে যে আইনটি ‘স্বাভাবিক ন্যায়নীতি বোধের’ বিরোধী কিনা। অর্থাৎ, কোনো আইন ন্যায়সংগত বা যুক্তিসংগত কিনা তা বিচার করার ক্ষমতা মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হাতে ‘আইনের যথাবিহিত পদ্ধতি অনুসারে’ (Due Process of Law) বিচারকাজের কোনো ক্ষমতা নেই। এখানে সুপ্রিম কোর্ট শুধু এটুকু দেখে যে ‘আইননির্দিষ্ট পদ্ধতি’ (Procedure Established by Law) মানা হয়েছে কিনা।