ইলতুৎমিসকে দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় কেন?
Share
Sign up to our social questions and answers engine to ask questions, answer people's questions, and connect with others.
Log in to our social Questions & Answers engine to ask questions, answer people's questions, and connect with others.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
কুতুবউদ্দিন আইবক দিল্লির সুলতানি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা হলেও তাঁর উত্তরাধিকারী ইলতুৎমিস ছিলেন দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নীতি ও নেতৃত্ব সদ্য প্রতিষ্ঠাত সুলতানী সাম্রাজ্যকে দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁকে ‘আদি তুর্কি সুলতানদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ’ বলে অভিহিত করেছেন। ডঃ নিজামী বলেন যে, ‘ইলতুৎমিস ছিলেন মধ্যযুগীয় দিল্লি নগরীর প্রকৃত স্থপতি’।
ইলতুৎমিসের সমস্যা: সিংহাসন আরোহণের করে তিনি এক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের (যেমন—গজনীর শাসক তাজউদ্দিন ইলদুজ, সিন্ধুর শাসক নাসিরুদ্দিন কুবাচা) কার্যকলাপ এবং প্রদেশ ও রাজ্যগুলির স্বাধীনতার প্রয়াস ভারতে মুসলমান আধিপত্যের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তোলে।
ইলতুৎমিসের কৃতিত্ব: অভূতপূর্ব দৃঢ়তা ও কূটনীতির মাধ্যমে ইলতুৎমিস সমস্যার সমাধান করেন।
(১) সুলতানির সংহতি: ভারতে সুলতানি সাম্রাজ্যের সংহতি রক্ষা করেন ও তার পরিধি বিস্তার করেন। তিনি তাজউদ্দিন ইলদুজকে ১২১৬ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের কাছে এক যুদ্ধে পরাজিত ও বন্দি করেন। ১২২৭ খ্রিস্টাব্দে নাসিরুদ্দিন কুবাচাকে পরাজিত করেন।এরপর বাংলার শাসক গিয়াসউদ্দিনের বিদ্রোহ দমন করেন।
(২) খালিফার অনুমোদন লাভ: ইলতুৎমিস নিজ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে খলিফার কাছে দূত পাঠান। ১২২৯ খ্রিস্টাব্দে খলিফা তাঁকে একটি ‘ফরমান’ পাঠান এবং তাঁকে সুলতান-ই-আজম’ বা প্রধান সুলতান উপাধিতে ভূষিত করেন।
(৩) মোঙ্গল আক্রমণ এড়ানো: মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিজ খাঁর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে খোয়ারিজম বা খিবার শাসক জালালউদ্দিন মঙ্গবরনী ভারত সীমান্তে চলে আসেন ও ইলতুৎমিসের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। কিন্তু তিনি জালালউদ্দিনকে আশ্রয় না দিয়ে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ দেন। এর ফলে দিল্লির নব-প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র চিঙ্গিজ খাঁর আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।
(৩) প্রশাসনিক বিন্যাস: ইলতুৎমিস দিল্লির সুলতানি রাজ্যে প্রশাসনিক সংগঠনের বিকাশে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি যে শাসনতান্ত্রিক কাঠামো প্রণয়ন করেছিলেন তা সুলতানি আমলের শাসনব্যবস্থার ভিত্তি রচনা করেছিল। তিনি সাহিত্য ও শিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। অধ্যাপক নিজামী বলেন যে, তিনিই প্রথম ভারতে একটি সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রশাসনের ভিত্তি গড়ে তোলেন।