সংবিধান প্রয়োজন হয় কেন?
Share
Sign up to our social questions and answers engine to ask questions, answer people's questions, and connect with others.
Log in to our social Questions & Answers engine to ask questions, answer people's questions, and connect with others.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
(১) শাসক ও শাসিতের আইনগত সম্পর্কের উপর প্রতিষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা। শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্কই রাষ্ট্র চরিত্র নির্ধারণ করে। পূর্বে এই সম্পর্ক নির্ধারণ করত শাসকশ্রেণী। বর্তমানে শাসিত শ্রেণীই রাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। শাসিতের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল যে শাসনব্যবস্থা তাকেই বলা হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। শাসক ও শাসিতের সম্পর্ককে সুনির্দিষ্ট করবার জন্য শাসিতের মৌলিক আধিকারগুলিকে বিধিবদ্ধ করে স্বৈরাচারিতার পথরোধ করা হয়। সংবিধান শাসক ও শাসিতের সম্পর্ককে বিধিবদ্ধ করে এবং মৌলিক বিধিনিষেধগুলি লিপিবদ্ধ করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রবর্তিত না হলে রাষ্ট্রে অরাজকতা দেখা দিবে এবং রাষ্ট্র গঠনের মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।
(২) সংবিধান রাষ্ট্রের চরিত্রের নিদর্শন। একটি দেশের সংবিধান দেখলেই সেই দেশের স্বরূপ বোঝা যায়।
(৩) সংবিধান রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা সম্পর্ক ব্যক্ত করে বলে এর যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।
(৪) রাষ্ট্রীয় জীবন বিকাশের জন্য সংবিধান অপরিহার্য। সংবিধান রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার চাবিকাঠি। শাসনব্যবস্থা একদিন কি ছিল, আজ সে কি রূপ ধারণ করেছে রাষ্ট্রের সংবিধান থেকে জানা যায়।